ওয়েবডেস্ক- এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। আজ সোমবারও অচলাবস্থা বজায় থাকল ইন্ডিগোর (IndiGo)। সোমবারও বাতিল প্রায় ৫০০ বিমান। এই পরিস্থিতিতে উড়ান সংস্থার রোস্টার (Roster) সমস্যাকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জারাপু (Union Civil Aviation Minister Ram Mohan Naidu Kinjarapu) রাজ্যসভায় বলেন, ২ ডিসেম্বর থেকে এই অচলাবস্থা চলছে উড়ান সংস্থার। যাত্রীদের নাজেহাল হতে হচ্ছে।
সব কিছুর জন্য দায়ী এই রোস্টার। সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে যে ইন্ডিগো তাদের ১৩৮ টি গন্তব্যের মধ্যে ১৩৭টিতে প্রতিদিন ২,৩০০টি ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৫০০টি বাতিল করা হয়েছে। সরকার সকল পক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এপ্রিলে হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুসারে, DGCA -র নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- জরুরি শুনানির দরকার নেই! ইন্ডিগো মামলায় কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
মন্ত্রী দাবি করেছেন, উড়ানের নতুন নিয়ম (FDTL) চালু করার পর থেকে সমস্যা শুরু হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি পাইলটদের ক্লান্তির কথা বিবেচনা করেই, এই নিয়মগুলো চালু করা হয়েছিল।
এই অবস্থায় ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে (IndiGo CEO Peter Elbers) শো কজ (Show Cause) নোটিশও ধরিয়েছে ডিজিসিএ। সেই সঙ্গে বিমান সংস্থা সিইও’র পাশাপাশি ইন্ডিগোর অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজার ইসিদ্রো পোরকেরাসকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের এই হয়রানির জন্য তাঁকেই দোষী জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে কারণ দর্শানোর সময় সীমা বাড়িয়েছে DGCA।
শনিবার জারি করা নোটিশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ জবাব দেওয়ার কথা ছিল, এখন সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক তার নোটিশে ইন্ডিগোর পরিকল্পনা, তদারকি এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনায় “উল্লেখযোগ্য ত্রুটি” তুলে ধরেছে। ডিজিসিএ বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছে যার ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রী বিমানবন্দর জুড়ে আটকা পড়েছিলেন। বিমান সংস্থার প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেখুন আরও খবর-







